আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামে কম দরে গাভী বিক্রি না করায় ২ হিন্দু পরিবারে বেপরোয়া হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট, ভাংচুর ও লুটপাট করাসহ ঐ ২ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে দূর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জনান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শান্তিরাম গ্রামের মৃত নৃপেন চন্দ্র বর্মনের পুত্র সুনীল চন্দ্র বর্মন ও তার মামা নানকু চন্দ্র বর্মনের বসতবাড়িতে কয়েকদফা বেপরোয়া হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী মৃত পনির উদ্দিনের পুত্র বাদশা মিয়া গং। এতে ঐ ২ পরিবারের ঘর-দরজার ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট করাসহ পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে। এরআগে সুনীল চন্দ্রের মামা নানকু চন্দ্র বর্মনের ১টি গাভী অসুস্থ হলে তা ৫ হাজার টাকায় কিনে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বাদশা মিয়া ও তার লোকজন। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী বেলকা ইউনিয়নের বেপারীপাড়াস্থ জনৈক মুকুল কসাইয়ের নিকট ৬ হাজার টাকায় গাভীটি বিক্রি করেন নানকু চন্দ্র বর্মন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদশা মিয়া গং ঐ ২ পরিবারে কয়েকদফা হামলা চালানো এছাড়াও পরিবার ২টিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এ নিয়ে থানায় সুনীল চন্দ্র বর্মনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রাজেন্দ্র মোহন চাকী প্রাথমিক তদন্ত করেন। এতে বাদশা গং ঐ ২ হিন্দু পরিবারের প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকে না পাওয়ায় বাদশা মিয়ার স্ত্রী ও পুত্রবধূ জানান, নানকু চন্দ্র বর্মনের ১টি গাই (গাভী) গরু কেনার জন্য দর-দাম করার পর অন্য জনের কানের কাছে সেটা (গাভীটি) ব্যাচাইছে (বিক্রি করেছে)। এ নিয়ে গন্ডগল হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সামিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে এসআই রাজেন্দ্র মোহন চাকী জানান, অভিযোগের সত্যতা আছে। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের গাইবান্ধা জেলা কমিটির আহবায়ক শ্যামল কুমার দাস, যুগ্ম আহবায়ক বিপুল চন্দ্র রায়, শান্তিরাম ইউনিয়ন পূঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কুমার রায় ওরফে রতন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার পূর্বক প্রচলিত আইনের আওতায় এনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৬ মে ২০২০/ইকবাল